ক্রমশ বাড়ছে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা। চিকিত্সকরা বলছেন, রক্তে টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকতে হবে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ২০০ মিলিগ্রাম বা তার কম! এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকা দরকার প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ১০০ মিলিগ্রামের নীচে। ট্রাইগ্লিসারাইডস-এর মাত্রা থাকা দরকার ১৫০ মিলিগ্রামের নীচে। অন্যদিকে হার্টের পক্ষে ভালো বা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকা দরকার প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৫০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি। বাস্তবে দেখা যায়, রক্তে টোটাল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস-এর মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বিপজ্জনকভাবে বেশি!
এমতাবস্থায় কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু খাদ্যে অবশ্যই খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ওটস: বেটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে ওটস-এ, যা পাচনতন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। প্রতিদিন অন্তত এক বাটি ওটস খাওয়া উপকারী।
আটা ও অন্যান্য শস্য: লাল আটা, ব্রাউন রাইস এবং অন্যান্য শস্যতে প্রচুর ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সাদা চাল এবং ময়দার পরিবর্তে এগুলি খাওয়া যেতে পারে।
সবজি: বেগুন, ঢেঁড়শ, ব্রকোলি, পালং শাক এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ফল
আপেল: কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড উভয়ই কমে আপেল খেলে। প্রচুর ফাইবার এবং পলিফেনল নামক যৌগ থাকে এই ফলে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
কমলা এবং অন্যান্য লেবু জাতীয় ফল: এগুলোতে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
কলা: কলার দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার:
বাদাম এবং বীজ: কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা এবং অন্যান্য বাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এগুলো এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তবে বাদাম খেতে হবে মিলিয়ে মিশিয়ে চারটি থেকে পাঁচটি।
অন্যান্য খাবার:
সয়াবিন এবং সয়া পণ্য: টোফু, সয়া দুধ এবং সয়া দই-এর মতো খাদ্য এলডিএল কোলেস্টেরহ্রাস করতে সাহায্য করে।
ডাল: ডালে প্রচুর দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।