ময়দান সরগরম মোহনবাগানের নির্বাচন ঘিরে। ২০১৮ নির্বাচন দেখিয়েছিল ময়দানের জয়-বীরুর দোস্তির পতন। যে টুটু-অঞ্জন নাম একত্রে উচ্চরিত হত ময়দানে, যে জুটি দীর্ঘ দিন পরিচালিত করেছে মোহনবাগানের কর্মকাণ্ড সেই জুটি ভেঙে যেতে দেখেছে ময়দান। টুটু-অঞ্জন পরবর্তী জামানায় মোহনবাগানে উঠে এসেছিল টুম্পাই-দেবাশিস জুটি। কিন্তু হঠাৎই ছন্দ পতন ২০২২ সালে। ব্যক্তিগত কারণে সচিব পদ ছেড়ে সৃঞ্জয়ের বেরিয়ে যাওয়া, দেবাশিসের সেই পদে স্থলাভিশক্তি এবং ২০২৫-এর নির্বাচন। যে আকার এ বারের মোহনবাগান নির্বাচন নিয়েছে তা কার্যগত ছাপিয়ে যেতে চলেছে ২০০৫-এর নির্বাচণকে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ব্যবধানে ১৯৯০ সালের পর নির্বাচন হয়েছিল ২০০৫ সালে।
বর্তমান শাসক দেবাশিস দত্তের বিপক্ষে নির্বাচনে লড়াইয়ে খানিকটা এগিয়ে থেকেই শুরু করেছে সৃঞ্জয় বসু। তার প্রধান কারণ টুটু বসুর তাঁকে পূর্ণ সমর্থন। টুটু-অঞ্জনকে ঘিরে মোহন জনতার আবেগ নতুন নয়। ২০০৫ নির্বাচনে এই টুটু বসু-অঞ্জন মিত্র জুটিই ক্লাব প্রশাসনে নো এন্ট্রি করে দিয়েছিল বলরাম চৌধুরি-কেষ্ট সাহার জুটি’কে।
টুটু বসুর যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনই সমান গুরুত্ব রয়েছে প্রয়াত অঞ্জন মিত্র’র। সেই আবেগকেই কাজিয়ে লাগিয়েছে দেবাশিস দত্ত। অঞ্জন মিত্রের মেয়ে সোহিনী মিত্র চৌবে যেমন দেবাশিসের শিবিরের অন্যতম মুখ তেমনই দেবাশিসের নির্বাচনী পোস্টারে জ্বলজ্বল করছে অঞ্জন মিত্রের ছবি।
এ বার নির্বাচনের আবহে সব থেকে মোক্ষম চাল দিলেন মোহনবাগান সচিব। দেবাশিস দত্তের শিবিরের নতুন যে পোস্টার সামনে এসেছে তাতে উজ্জ্বল টুটু বসুর কনিষ্ঠ পুত্র তথা সৃঞ্জয় বসুর ছোট ভাই শৌমিক বসুর ছবি। সৃঞ্জয় বসুর প্রচারের লাইন ‘তোমাকে চাই’-এর পোস্টারে টুটু বসুর পাশেই সৃঞ্জয়ের ছবি সর্বত্র। কিন্তু পরিবারেরই অপর সন্তান শৌমিকের ছবি নিজেদের ব্যানারে ব্যবহার করা যে দেবাশিসের মাস্টারস্ট্রোক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। উল্লেখ্য, যে কর্মসমিতি বিগত তিন বছর মোহনবাগানের কর্মকাণ্ড সামলেছে সেই কমিটির সহ সভাপতি শৌমিক বসু। এই নির্বাচণের দাদার বিরুদ্ধের শিবিরেই তাঁর সমর্থন।